ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কখনো শেষ হবে না। রেমিট্যান্স যে জায়গায় ছিল, সে জায়গায়ই থাকবে। আমরা শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছি।
বুধবার (১১ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় তিনি রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে সিপিডির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি এসডিজি বাস্তবায়নে ‘নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, অর্থনীতির সব থেকে শক্তিশালী জায়গা বৈদেশিক খাতে এক ধরনের ভাঙন ধরেছে। রেমিট্যান্স খাতের জাদু শেষ হতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন ড. দেবপ্রিয়।
এই বক্তব্যের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্স কোনো জাদু নয়, তাই রেমিট্যান্স যে জায়গায় ছিল সে জায়গায়ই থাকবে। সমস্যা হচ্ছে যে ২০১৯ সালে যখন আমরা রেমিট্যান্সের বিষয়ে প্রণোদনা দেয়া শুরু করি তখন থেকেই একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা বলে আসছিল প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না এবং তারা বলেছে এটা কখনো বাড়বে না। তারা বলেছিল, এটা সাময়িক, সাসটেইনেবল নয়। এটা যেকোনো মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে।
আপনারা জানেন, ২০১৯ সালে আমরা যখন প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছিলাম তার আগে আমাদের রেমিট্যান্স ছিল প্রতি বছর ১৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার পর প্রথম বছরই আমরা সংগ্রহ করলাম ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ১৩ দশমিক ১ থেকে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে চলে যায়। দ্বিতীয় বছরে রেমিট্যান্স প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে চলে যায়। এটা অবিশ্বাস্য। রেমিট্যান্স ২৫ বিলিয়ন ডলার আসার পর তারা বলছে অনেক বেশি এসে গেছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ মাসের প্রথম ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার। একই সময় গত বছর ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। এরপরও সিপিডি এটাকে ভালোভাবে দেখছে না।
সিপিডির কাছে প্রশ্ন রেখে অর্থমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের ক্রিকেট দল ৪-১ এ সিরিজ জিতল। আমরা চারটা জিতলাম। একটা খেলায় আমরা জিততে পারিনি। তারা (সিপিডি) বলতে চাইবে, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেছে। আমরা যে সিরিজ জিতেছি সেটা বলবে না। এটি কোন ধরনের আচরণ?
সোনালীনিউজ/এমটিআই