ঢাকা: বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে, বিশেষ করে যারা ফ্যাশন শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগের সূচনা করতে যৌথ উদ্যোগে একটি ওয়েবিনার আয়োজনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং বিজিএমইএ। এই ওয়েবিনার এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা একদিকে তাদের শক্তি ও সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবেন, অন্যদিকে জাপানী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগন বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য সম্ভাবনাগুলো অন্বেষন করার সুযোগ পাবেন।
জেট্রো এর একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার গুলশানস্থ বিজিএমইএ পিআর অফিসে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং জেট্রো, নিউ দিল্লীর পরিচালক তাকুমা ওটাকি, জেট্রো’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ইউজি আন্দো, জেট্রোর প্রতিনিধি কাজুনোরি ইয়ামাদা এবং জেট্রো ঢাকার জেষ্ঠ্য পরিচালক এস. এম. শরিফুল আলম।
এছাড়া বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তারা এলডিসি পরবর্তী সময়ে জাপানের বাজারে বাংলাদেশ যেন প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে পারে, সে ব্যাপারে একটি সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়েও অলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের বস্ত্রখাতে ফাইবার এর বৈচিত্র্যকরন এবং নন-কটন টেক্সটাইলখাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি জেট্রো'কে আহবান জানান জাপানী ব্যবসায়ীদেরকে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরনের জন্য। তিনি জাপানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ইনষ্টিটিউটগুলোর মাধ্যমে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন ও টেকনোলজীর টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন এবং ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়ে সক্ষমতা বিকাশের জন্য জেট্রোর সহযোগিতা চান।
জাপান ও বাংলাদেশ ২০২২ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উৎযাপন করবে। এ উপলক্ষে জেট্রো এর সহযোগিতায় বিজিএমইএ কর্তৃক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাও তারা বলেন। এই কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ আয়োজন ও রোড’শো এবং জাপানে একক দেশ মেলা।
সোনালীনিউজ/এমএইচ