ঢাকা : ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ও স্বাধীন দেশের ৫১তম বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটা অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের ৪র্থ বাজেট।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা ৩টায় এ বাজেট উত্থাপন করেন তিনি।
এবারের বাজেট প্রস্তাবের শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ এ বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আয় ও ব্যয় বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে, পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষায় বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করছে।
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি প্রস্তাবে দাম কমবে যেসব পণ্যের:
এখন কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব আসছে। অন্যদিকে আমদানিকরা ওই সব পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে। উৎপাদিত খেলনা, মুড়ি, চিনি, হাতে তৈরি ফাইবার।
একই কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামের দাম। এছাড়া কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর সুবিধার প্রস্তাব আসতে আসছে বাজেটে।
ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় গাড়ি তৈরির শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব আসতে পারে বাজেটে। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলবে।
এছাড়া স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে আসছে। যেখানে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ওপর ৫৮ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য। সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও অ্যাসেম্বলড হ্যান্ডসেটের জন্য কর দিতে হয় যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটেও এই সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে আমদানি কর মোবাইলের তুলনায় আগামী অর্থবছরের তুলনামূলক কম দামে ফিচার ফোন (বাটন ফোন) মিলতে পারে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ