ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানিকে এ এবং বি ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিগুলোর বোর্ড ২০২২ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড এর যে ঘোষণা করেছে। যা ইতোমধ্যে সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত।
এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হলো, ফরচুন সুজ, তৌফিকা ফুড এবং লাভলো আইসক্রিম, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন এবং এসএস স্টিল। আর ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হলো অ্যাডভেন্ট ফার্মা, সাফকো স্পিনিং মিলস এবং প্যাসিফিক ডেনিমস। এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা এবং শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে।
কোম্পানিগুলো গত বছরের জুনে শেষ হওয়া বছরের জন্য এক শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে লভ্যাংশের ঘোষণা করেছে।
তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ইস্যুকারীরা ঘোষণা বা অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ পরিশোধ করতে বাধ্য। নগদ লভ্যাংশ সিকিউরিটিজ হোল্ডারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হয় স্টক ডিভিডেন্ড বিও (বেনিফিসিয়ার মালিকের) অ্যাকাউন্টে।
সম্প্রতি নন-কমপ্লায়েন্ট কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়াটা ‘বাজার কারসাজির’ সমতুল্য।
একটি কোম্পানি যদি একটি নির্দিষ্ট বছরের জন্য শেয়ার প্রতি কমপক্ষে ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ বিতরণ করে থাকে তবে একটি বিভাগ হিসাবে ট্যাগ পায়। কোম্পানিগুলি প্রতি বছরে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ প্রদানের জন্য বি ক্যাটাগরিতে আসে।
যে কোন কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে থাকবে যদি তারা পরপর তিন বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করতে ব্যর্থ হয় এবং এমনকি এক বছরের জন্যও কোনো লভ্যাংশ না দেয়।
এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডের আরও পাঁচটি কোম্পানি ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য একই ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছে।
সেগুলো হলো ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি পেইন্টস, মামুন এগ্রো প্রোডাক্টস, কৃষিবিদ বীজ এবং কৃষিবিদ ফিড।
এর আগে, সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রক ১৫ টি কোম্পানির একটি তালিকা তৈরি করেছিল যারা ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য লভ্যাংশ বিতরণ করেনি। পরে এর মধ্যে দুটি – বিচ হ্যাচারি এবং প্রিমিয়ার সিমেন্ট – বর্ধিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করে। তাই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু এক্সচেঞ্জের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোনো ক্যাটাগরি নেই, সেহেতু অন্যায়ের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জরিমানাও করা হবে।
সোনালীনিউজ/এএইচ/আইএ