ঢাকা: ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ পেঁয়াজে দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বেশি। তুলনামূলক কম বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।
আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর শতক ছুঁই ছুঁই দেশি পেঁয়াজের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের এ সময়ে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসার পাশাপাশি শুল্ক আরোপের ফলে এই পণ্যের দাম বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি আছে, তাই দাম বেড়েছে।
[205292]
এদিকে দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
কবে নাগাদ আমদানি করা হবে, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যারা আমদানি করে তারা কাল থেকেই করতে পারে। যে কেউ ইমিডিয়েট চীন, জাপান, ইরান থেকে পেঁয়াজ আনতে চায়, আমরা তাদের আইপিও দেবো।
এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির আইপিও দিয়েছি, এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন। এখন ভারত তাদের পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। পেঁয়াজ আনা হয়নি বেশি দাম দিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি জানি না আমরা এটা (বাজার নিয়ন্ত্রণ) কীভাবে করবো। আমরা জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি পদক্ষেপ নিয়েছি। গ্রীষ্মকালে একটা পেঁয়াজ উৎপাদন করা। গতবার থেকে এটা শুরু হয়েছে। এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ করেছি, সেটা আসবে অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের প্রথম দিকে। নভেম্বরের আগে আমরা নতুন পেঁয়াজ পাবো না। অতীতেও আমরা দেখেছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে।
মন্ত্রী বলেন, এটা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিকল্প হচ্ছে অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা। মিশর, তুরস্ক, চীন থেকে এটা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা (পেঁয়াজ আমদানি) প্রত্যক্ষভাবে আমাদের দায়িত্ব নয়। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায়িত্ব এড়াতে পারবো না। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এরই মধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি- অন্যান্য দেশ থেকে আমরা যাতে পেঁয়াজ আনতে পারি।
সোনালীনিউজ/আইএ