ঢাকা : ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর দাম রাতারাতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, যা একদিন আগেই ছিল ১৪০ টাকা।আমদানি করা বা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা, যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায়।
অথচ গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা এবং প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে তারা।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
[212952]
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা ক্রেতাদের।
মোহাম্মদপুর বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া বলেন, ভোরে কারওয়ান বাজার থেকে বহু কষ্টে চার মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৭ হাজার টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে আরও ৫০০ টাকা। এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি না বিক্রি করলে লোকসান হবে।
রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়েই গলাকাটা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পেঁয়াজ।
এমটিআই