বিশ্বে পেঁয়াজ আমদানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ, নির্ভরতা ভারতে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশ শুধু পেঁয়াজের বড় একটি বাজারই নয়, বরং পরিমাণের দিক থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বিশ্বে ১ নম্বরে রয়েছে দেশটি। তবে এখন আমদানি নির্ভর হয়ে আছে ভারত। কারণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে খরচ কম। এবং সহজে সরবরাহ করা যায়।

দেশভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানির তথ্য তুলনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এনবিআর তথ্য মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ৭ লাখ ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে। ওই বছর আর কোনো দেশ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেনি। 

জাতিসংঘের পণ্যবাণিজ্য পরিসংখ্যানের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের পর যে দেশটি সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আমদানির পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার টন। এরপরের অবস্থানে ছিল মালয়েশিয়া। তাদের আমদানি সোয়া পাঁচ লাখ টন।

পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে, পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম, তবে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়ে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। ফলে রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের আমদানি বাড়ছে, তবে এই আমদানির পরিমাণ এতটাই যে তা বিশ্বতালিকায় বাংলাদেশকে শীর্ষে নিয়ে গেছে।

পেঁয়াজ আমদানিতে শীর্ষতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ভবিষ্যতে নড়চড় হবে, এমন কোনো শঙ্কা অবশ্য নেই। কারণ, ২০২৩ সাল শেষ হতে এক মাস বাকি থাকতেই আগের বছরের আমদানির রেকর্ডও ভেঙে গেছে। 

এনবিআরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের ১১ মাসে পেঁয়াজের আমদানি ৮ লাখ ৬৪ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ ২০২৩ সাল শেষেও আমদানির শীর্ষতালিকায় থাকবে বাংলাদেশের নাম, এমনটা ধরে নেওয়া যায়।

ভারত থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশের বাজারে প্রথম আমদানি হয় ডাচ পেঁয়াজ। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে হল্যান্ড পেঁয়াজ সমিতি জানিয়েছিল, ওই সময় নেদারল্যান্ডসের পেঁয়াজ রপ্তানিতে শীর্ষ ১২ গন্তব্যের একটি ছিল বাংলাদেশ।

অবশ্য ওই বছরের মার্চে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। ফলে নেদারল্যান্ডস থেকে মুখ ফিরিয়ে আবার ভারত থেকে আমদানি শুরু করেন এ দেশের পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরা। 

কারণ, সবচেয়ে সহজ ও কম দামে পেঁয়াজ আনা যায় প্রতিবেশী এই দেশ থেকে, যেটি আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। তখন থেকেই ইউরোপের দেশটির আফসোস গাঁথা লেখা হতে থাকে জার্নালের ভার্চ্যুয়াল পাতায়।

এমএস