ঢাকা : বেসরকারি খাতে পরিচালিত একীভূত হলো পদ্মা-এক্সিম ব্যাংক। এর ফলে পদ্মা ব্যাংক নামটি আর থাকছে না। এমনটি জানিয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে আর পদ্মা ব্যাংক থাকছে না। ব্যাংকটিকে একীভূত করার কারণে নতুন কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চুক্তির মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এরফলে যেমন দেশের ইতিহাসে ব্যাংক খাতে এই প্রথম একীভূত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তেমনি দেশে একটি ব্যাংকের নাম মুচে যাচ্ছে 'পদ্মা ব্যাংক' যার নাম এর আগে ছিল 'ফারমার্স ব্যাংক'।
[219762]
এরআগে ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সমালোচিত ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে ‘পদ্মা ব্যাংক’ করার অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। যার প্রেক্ষিতে ব্যাংকটির নতুন এই নামের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে ফারমার্স নামে অনুমোদন পেয়েছিল ব্যাংকটি। ওই সময় এর চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। অল্প সময়ের মধ্যে অনিয়মে ডুবতে থাকায় ম খা আলমগীরকে সরিয়ে দিয়ে মালিকানায় আসেন ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাত।
২০১৬ সালে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম দেখে ফারমার্স ব্যাংকে পর্যবেক্ষক দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফারমার্স ব্যাংকের ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক এখন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশান অব বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির যাত্রা শুরু হয়।
ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের কারণে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সরকারের হস্তক্ষেপে ডুবতে থাকা এই ব্যাংকটির বেশিরভাগ শেয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী এবং আইসিবি কিনে নেয়।
[219771]
২০১৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফারমার্স ব্যাংক হয়ে যায় পদ্মা ব্যাংক। ব্যাংকটি ৭১৫ কোটি টাকা তহবিল পায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। তবু দাঁড় করানো যায়নি পদ্মা ব্যাংককে।
সমঝোতা স্মারক সই শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ব্যাংক দুটি আজকে একীভূত হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই। কারও চাকরি হারাবে না।
পদ্মা ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের কোনো ক্ষতি হবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। দুটি ব্যাংক একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।
এমটিআই