ঢাকা : নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক বছরে ঋণ ও আমানতের পরিমাণ বেড়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের চেয়ে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এ সময় ঋণ স্থিতি ছিলো ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ ছিলো ৪৩ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি ছিলো ৭০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অন্যদিকে ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আমানত ও ঋণ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঢাকা বিভাগেই আমানত ও ঋণ বেশি, আর কম বরিশাল বিভাগে। গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণের মধ্যে ঢাকা বিভাগে বিতরণ করেছে ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। বরিশাল বিভাগে ঋণ বিতরণ করেছে ৩৭১ কোটি টাকা।
[219870]
অন্যদিকে, গত ডিসেম্বর শেষে ঢাকা বিভাগে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। আর বরিশালে আমানতের পরিমাণ ছিলো ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গড় সুদহার ছিলো আট দশমিক ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে গড় ঋণ সুদহার ছিলো ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ সময় ভোক্তা ঋণে সুদ হার ছিলো সর্বোচ্চ (১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ)।
[219864]
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল-স্মার্ট) সুদহার এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত এবং সাড়ে পাঁচ শতাংশ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে চলতি মাসে নতুন করে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ আর ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৫টি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।
এমটিআই