ঢাকা: ‘বিএসইসিতে ২ বারে ৮ বছরের বেশি নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। আমার এরইমধ্যে ২ বার নিয়োগ হয়েছে। ৩য় বার নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আর হারানোরও কিছু নেই। এখন শেয়ারবাজারের জন্য শুধু ভালো কিছু করতে চাই।’ কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসি চেয়ারম্যানের পূণ:নিয়োগে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) শুভেচ্ছা জানায়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সিএমএজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূইয়া, সেক্রেটারি আবু আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃপক্ষ প্রতিবছরই বাংলাদেশকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে একটি ক্যাপিটাল গেইনের উপরে ট্যাক্স আরোপ করা। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব না। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা ক্যাপিটাল গেইনের উপর ট্যাক্স আরোপ করবে না।
তিনি বলেন, গত ৪ বছরে পুঁজিবাজারের অনেক কিছুই চিনতে ও বুঝতে শিখেছি। কে বন্ধু আর শত্রু, তা বুঝি। সে আলোকে আগামিতে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেবো।
বিএসইসিতে ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নেই উল্লেখ করে অধ্যাপক শিবলী বলেন, আমার পরিবারের কেউ শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত না। এখানে কেউ বলতে পারবে না ১ টাকা ঘুষ নেই। পারলে ১ জনকে সামনে নিয়ে এসে প্রমাণ করুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষরের পরেও অনেকেই তার নিয়োগে বিরোধীতা করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। যে কারনে প্রজ্ঞাপন জারিতে সময় লেগেছে। এক্ষেত্রে অনেক উচ্চ লেভেলের লোকজনও কাজ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কারনে সেটা টিকেনি। আর যারা বেশি বিরোধীতা করেছে, তারাই আবার সবার আগে এসে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক শিবলী বলেন, সূচক বাড়া-কমা দেখার কাজ বিএসইসির না। আর কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনাও বিএসইসির কাজ না। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এ দুটি কাজ করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছি। এখন থেকে আইপিও ও সূচকের উন্নয়ন স্টক এক্সচেঞ্জ দেখবে। আজকে এ বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি।
আগামি ৪ বছরে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির এই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকেও সেদিকে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে জনগনের উপরে ট্যাক্সের চাপ কমে আসবে।
এএইচ/আইএ