ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ করার খবরকে মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই জানিয়ে খুরশিদ বলেন, আমরা তথ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের তিনজন কর্মকর্তা আছেন, তারা না পারলে আমরা চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি। আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেই যেকোনো তথ্য পাওয়া যাবে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজ ভবনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
খুরশিদ আরও বলেন, এ বছর বাজেটের আকার হবে ৮ লাখ কোটি টাকা। অপপ্রচারকারীদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। বিশ্বের কাছে রোল মডেল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনে তাকানোর সময় নেই। অনেকে না জেনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।
[223650]
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে এই কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নূরুল আমিন ও রুহুল আমিন, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক লিজা ফাহমিদা ও শায়েমা ইসলাম, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান এবং এফআইসিএসডি স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন টিমের প্রধান অতিরিক্ত পরিচালক মাহেনুর আলম।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা গত ২৫ মার্চ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাইরে অবস্থান নেন । আগে অনুমতি ছাড়াই ঢুকতে পারলেও গত এক মাস যাবৎ সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।
[223648]
এদিকে বিষয়টি সমাধানের অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। তবে কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমটিআই