গুঁড়োদুধ, ল্যাপটপসহ কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪-২৫ সালের ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩ টায় নতুন বাজেট প্রস্তাব পেশ শুরু করে সাড়ে ৪টার দিকে শেষ করেন। ।

এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার জন্য মেরুন রঙের ব্রিফকেস হাতে নিয়ে সংসদ ভবনে আসেন তিনি। সংসদে পৌঁছে সাংবাদিকদের বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবারের বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে যতটুকু সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করছি।

বাজেটে নিম্নবিত্ত মানুষের কথা বিবেচনা করে কর কমানো হয়েছে বেশকিছু পণ্যের। ফলে গুঁড়োদুধ, দেশে তৈরি মোটরসাইকেল, ল্যাপটপসহ অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে।

দাম কমবে যেসব পণ্যের
বাজেটে প্যাকেটজাত গুঁড়োদুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বাজারে গুঁড়োদুধের দাম কমতে পারে। এছাড়া চকলেট আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমছে। দাম কমতে পারে চকোলেটের। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে পণ্যটিতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে। ফলে কমতে পারে ল্যাপটপের দাম।

নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ৩০ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। 

পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে কিছুটা হলেও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমতে পারে। অ্যাভিয়েশনখাতের উত্তরণে ইঞ্জিন-প্রপেলর আমদানি পর্যায়ে কমতে পারে মূসক। ফলে প্লেন রক্ষণাবেক্ষণে কমতে পারে খরচ। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসের আমদানি শুল্ক কমছে। এতে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমতে পারে।

রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। এতে লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমতে পারে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেটের দাম কমার সম্ভাবনা আছে। কারণ দেশে উৎপাদিত সুইচ-সকেট, হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমবে।

কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোয় দাম কমতে পারে ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ডায়লেসিস ফিল্টারের। সার্কিটের ওপর আমদানি শুল্ক ৯ শতাংশ কমতে পারে। এতে কমতে পারে ডায়ালাইসিসের খরচ। স্পাইনাল সিরিঞ্জ ও ডেঙ্গু কিটে রেয়াতি সুবিধা থাকায় এ পণ্য দুটির দামও কমতে পারে।

আইএ