ঢাকা: বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আয় বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটি আয় করেছে ২ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় আয়ের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
সোমবার (২৯ জুলাই) চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে কোম্পানিটি। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনীতি ও ক্রমবর্ধমান রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জের মধ্যেও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে রবি। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৯৫ লাখ, যার মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৫৪ লাখ এবং ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৬ লাখ।
[228360]
রবির মোট সক্রিয় গ্রাহকের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৬৩ শতাংশ ব্যবহারকারী ফোরজি সেবা নিয়ে থাকে। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩২৫টি নতুন ফোরজি সাইট নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে রবি। এর মধ্য দিয়ে রবি এখন ১৭ হাজার ৭১৫টি ফোরজি সাইট দিয়ে দেশের ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ জনগণের জন্য ফোরজি কভারেজ নিশ্চিত করেছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আয়সহ বছরের প্রথম ছয় মাস শেষে রবির আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ১২০ দশমিক ২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে রবির আয় বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভয়েস এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে আয় বেড়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভয়েস এবং ডেটা খাতে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৭ শতাংশ, আর একই সময়ের ব্যবধানে প্রতি মাসে গ্রাহক প্রতি গড় ডেটা ব্যবহার ১২ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা, যা এ প্রান্তিকের মোট আয়ের ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকসহ বছরের প্রথম ছয় মাসে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট জমা দিয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা, যা এই সময়ে রবির মোট রাজস্বের ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও, রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকদের ডাটা ব্যবহারের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি মাথায় রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। গ্রাহককেন্দ্রিক কোম্পানি হিসেবে বিদ্যমান কিউওএস প্রবিধান অনুযায়ী তাদের জন্য বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এএইচ/আইএ