ঢাকা: সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ মাস গত জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে রেকর্ড গড়েছে। এই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে। এর আগের মাসের তুলনায় প্রায় চার শতাংশ বেড়েছে, যা গত ১৬ বছরে রেকর্ড পরিমাণ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই চিত্র পাওয়া গেছে।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই হারের অর্থ হলো খাদ্যপণ্য কিনতে দেশের মানুষকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ যে খাদ্যপণ্য কিনতে আগে ১০০ টাকা খরচ হতো, সেই একই পরিমাণ পণ্য কিনতে জুলাই মাসে ১১৪ দশমিক ১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জুলাই মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়েছে। এই হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জুন মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৫-০৬ কে ভিত্তি বছর ধরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশে।
বিবিএস জানায়, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় জুলাই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আগের মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। জুলাই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, জুন মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ছিল কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। আন্দোলন ঠেকাতে এক পর্যায়ে সরকার কারফিউ জারি করে সব কিছু বন্ধ করে দিতে হয়। এতে ওই মাসের কয়েক দিন কার্যত অচল ছিল দেশ। এছাড়া মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আন্দোলনে সরকার টালমাটাল অবস্থায় ছিল। ফলে এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। এই আন্দোলনের ধাক্কায় গত ৫ আগস্ট টানা প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটে।
এমএস