ঢাকা: বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও কারসাজির হোতা আবুল খায়ের হিরুসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তি বেনিফিসিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব স্থগিতের (ফ্রিজ) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেয়ারের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তিদের নামে থাকা বিও হিসাবের শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যাঁদের বিও হিসাব ফ্রিজ করতে বলা হয়েছে, তাঁরা হলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতের ছেলে জুহায়ের সরর ইসলাম, ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, বিতর্কিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরু এবং তাঁর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান এবং পরিবারের সদস্য আবুল কামাল মাতবর, কনিকা আফরোজ ও সাজেদ মাতবর, হিরুর ঘনিষ্ঠ জাবেদ এ মতিন এবং সিডব্লিটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির মনিজা চৌধুরী।
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিও হিসাব জব্দের নির্দেশনা দেয় বিএসইসি।
এর আগে মঙ্গলবার বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী শিবলী ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলামসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। আরো যাদের হিসাব স্থগিত করা হয় তারা হলেন– মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, শেয়ারবাজারের আলোচিত কারসাজিকারক মো. আবুল খায়ের, শেয়ারবাজারের আলোচিত ব্যক্তি জাভেদ এ মতিন, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি সিডব্লিউটির মনিজা চৌধুরী, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
নির্দেশনায় স্থগিত করা সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়।
এসআই