তুং হাই নিটিংয়ের কারখানা বন্ধ, পরিদর্শনে ডিএসই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের কারখান বন্ধ পেয়েছে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সোমবার ঢাকা এ পুঁজিবাজারের একটি পরিদর্শক দল কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শনে গেলে এমন তথ্য দেখতে পায়। 

নিয়ম অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকলে তা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) আকারে প্রকাশের পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। কিন্তু এই কোম্পানিটি তাদের কারখানা বন্ধের তথ্য পিএসআই বা স্টক এক্সচেঞ্জকে অবহিত করেনি। 

ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারনত নিয়মিতভাবে যেসব কোম্পানি তথ্য প্রকাশ করে না কিংবা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন কোম্পানির কার্যালয় বা কারখান পরিদর্শনে যায় ডিএসই। একই কারণে গতকাল তুং হাই নিটিংয়ের কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিল এক্সচেঞ্জটির একটি প্রতিনিধিদল। তবে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ পেয়েছে ডিএসই। 

[235109]

প্রতিনিধিদল জানায়, তুং হাই নিটিংয়ের কারখানার সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি দেখে মনে হয়েছে- এসব দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত হিসেবে পড়ে রয়েছে। যেখানে মরিচীকা দৃশ্যমান ছিলো।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ডিএসইকে তথ্য দিয়েছিল তুং হাই নিটিং। এসময় কোম্পানিটির ২০২২-২৩ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, আলোচিত হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে এ লোকসান ছিল ২১ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছিল ৬ টাকা ৩৫ পয়সা। 

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এরপর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ বঞ্চিত হয়েছেন। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১০৬ কোটি ৬৫ লঅখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মালিকানার অংশ ৬২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটির তখন রিজার্ভ ঘাটতি ছিল ৭৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারের দর ৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

এআর