ঢাকা : লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পারফরমেন্স দেখিয়ে বসুন্ধরা পেপার মিলস শেয়ারবাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৮০ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি ৭২ টাকা করে ইস্যু করে। তবে শেয়ারবাজারে আসার পরে কোম্পানিটির লেনদেন পূর্ব ৬৯ কোটি টাকা মুনাফা এখন ১৯ কোটিতে নেমে এসেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বসুন্ধরা পেপারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১.১০ টাকা হিসাবে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। যার পরিমাণ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল প্রতিটি শেয়ারে ৪.৬৩ টাকা হিসাবে মোট ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পরে মুনাফা কমেছে ৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ৭২ শতাংশ।
[235686]
কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে প্রবেশের প্রথম বছরেই ব্যবসায় বড় পতন হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে লেনদেন আসা কোম্পানিটির ওই অর্থবছরেই মুনাফা ২৯ কোটি ১৯ লাখ টাকায় নেমে আসে।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৮০ টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও ৭২ টাকা করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যুর মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই বিনিয়োগের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডাররা কোন লভ্যাংশ পাবেন না। কারন ওই অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটির পর্ষদ কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।
এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।
সরকারের ওই বিধান না মেনে, মুনাফার শতভাগ কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে রিটেইন আর্নিংসে রাখতে চাওয়া ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার উপরে ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ১ কোটি ৯১ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে বসুন্ধরা পেপারকে।
এমটিআই