ঢাকা: চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠেছে। কিছু খাতে উন্নতিও হয়েছে। এই সময় আমদানি, রপ্তানি, প্রবাসী আয় ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে।কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারি ব্যয় হ্রাস, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের গতি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা আছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় এমসিসিআই বলেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ কমে গেছে। এই সময় ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে এমসিসিআই মনে করছে, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে জরুরি অগ্রাধিকার।
[238378]
দেশীয় ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ বেসরকারি ঋণপ্রবাহ অবশ্য তেমন একটা কমেনি। কিন্তু এই সময় সরকারি খাতের ঋণ ও ব্যয় অনেকটাই কমেছে।
এমসিসিআই দেখিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটাই কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ভাগে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এ ক্ষেত্রে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্রড মানির প্রবৃদ্ধিও কমে এসেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্রড মানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে আগস্টের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
[238360]
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ; এই সময় মোট আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ; আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫৯১ কোটি ডলারের আমদানি।
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ; এই সময় মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ।
আইএ