ঢাকা: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দেশীয় কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকদের মধ্যে নিজেদের শেয়ার যত কম ধারন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে এরমধ্যে কিছু ব্যতিক্রম কোম্পানির পরিচালকও আছেন। যার মধ্যে একটি স্কয়ার ফার্মার পরিচালকেরা।
এ কোম্পানিটির শেয়ার দর যখনই কমে, তখনই তারা শেয়ার কিনে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করেন। যারা গত দেড় বছরের কম সময়ে ১ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার কিনেছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য আছে ২৫০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০০৯-১০ সালে শেয়ারবাজারে ধসের পেছনে যতগুলো কারন আছে, তারমধ্যে একটি উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া। তারা ওইসময় কোম্পানিতে মালিকানা ধরে রাখার চেয়ে শেয়ার বেচে অনেক টাকা কামানোকে প্রাধান্য দিয়েছিল। যাতে করে শেয়ারবাজারে ধস ত্বরান্বিত হয়।
এর ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০১১ সালে প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের ২ শতাংশ ও উদ্যোক্তা/পরিচালকদেরকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের বাধ্যবাধকতা বেধে দেয়।
দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে স্কয়ার ফার্মার ২ পরিচালক কয়েক ধাপে শেয়ার কেনার ঘোষনা দেন। আর ২ জন একবার করে কেনার ঘোষনা দেন।
এরমধ্যে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর স্কয়ার ফার্মার তপন চৌধুরী ১০ লাখ ও রত্না পাত্র ১০ লাখ শেয়ার এবং ৫ ডিসেম্বর স্যামুয়েল এস চৌধুরী ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষনা দেন। এরপর ২০২৪ সালের ১১ মার্চ তপন চৌধুরী ২০ লাখ ও ২১ মার্চ স্যামুয়েল চৌধুরী ২০ লাখ কেনার ঘোষনা দেন।
এরপরে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি অঞ্জন চৌধুরী ১৫ লাখ, ৪ মার্চ তপন চৌধুরী ১৫ লাখ ও ১০ মার্চ স্যামুয়েল এস চৌধুরী ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষনা দেন।
এসব ঘোষনার মধ্যে শুধুমাত্র গত ৪ মার্চ তপন চৌধুরীর ও ১০ মার্চ স্যামুয়েল এস চৌধুরীর ঘোষনা দেওয়া ৩০ লাখ শেয়ার কেনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাকি সব কেনা হয়ে গেছে।
এসআই