স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি 

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২০, ০৫:২৮ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ও মালিকরা। একইসাথে বেসরকারি স্কুল তথা কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষকদেরকে আর্থিক সহায়তা দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। 

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের (বিকসকপ) নেতৃবৃন্দ। করোনাায় দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে কিন্ডারগার্টেনগুলোর শিক্ষক ও মালিকদের সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেছন। 

সংবাদ সম্মেলনে  লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় কোনো প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা মালিক ও শিক্ষকরা সরকারের ঘোষনার সাথে সাথে কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করি। সেই সময় থেকে দীর্ঘ প্রায় আট মাস ধরে যা আজও বন্ধ আছে। আর কত দিন বন্ধ থাকবে সেটাও আমাদের জানা নেই। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফি’র ওপর নিভর্রশীল এবং ৯৯ শতাংশই ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। শিক্ষার্থীদের মাসিক টিউশন ফি’র ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ৪০ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, বাকি ২০ শতাংশ গ্যাস বিল, বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ নির্বাহ না হওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি দিতে হয়।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনায় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। তাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। একই সাথে করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের প্রণোদনা দেয়ার দাবিও জানান তারা। নেতারা আরও বলেন, এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, তিনি যেন আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান এম ইকবাল রাহার চৌধুরী। এ সময়  উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব সাফাতে হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার রেখা, হাবিব উল্লাহ, এ বি সিদ্দিক, আনিসুর রহমান প্রমূখ।

সোনালীনিউজ/এসআই/টিআই