ঢাকা : ধর্ষক মজনুকে যাবজ্জীবন সাজার রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। তবে, তাদের মতে, মৃত্যুদণ্ড দিলে আরও যথার্থ হতো। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধে, জনমত গড়ে তোলার আহবান জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭’র বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করেন।
জানুয়ারিতে দল-মত নির্বিশেষে উন্মাতাল প্রতিবাদের একটাই দাবি ছিল ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি। অপরাধী যেন কোনোভাবেই পার না পেয়ে যায়, তাও নিশ্চিতের আহবান ছিল আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বছরখানেক পরে এলো কাঙ্ক্ষিত রায়। যার প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলেন, নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ।
রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। দাবি জানান, অন্যান্য অমীমাংসিত ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের। মাত্র ১৩ কার্যদিবসে বিচারকাজ শেষ হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
তবে উপউপাচার্য ড. মুহাম্মাদ সামাদ বলেন, আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়াটাই সমীচীন হতো। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে, সমাজে এমন অপরাধ কমবে বলে মনে এই অধ্যাপক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ