রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত এক স্কুলশিক্ষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোববার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন : প্রাথমিকের জন্য নতুন সুসংবাদের ঘোষণা দিলেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
জানা গেছে, মারা যাওয়া শিক্ষকের নাম সোহেল রানা (৩৫)। তিনি উপজেলার মাহেন্দ্রা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান আলীর ছেলে। পুঠিয়ার দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি।
পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি জানান, সম্প্রতি পুঠিয়ার মাহেন্দ্রা বাজারে একটি দোকানের জমি কেনেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান আলী। কিন্তু জমিটি একই গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম নিজেদের দাবি করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সমঝোতায় বসেও কোনো সুরাহা হয়নি। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আবারো মাহেন্দ্রা বাজারে উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসেন বিচারকরা।
একপর্যায়ে তাজুল ও মাজেদুলসহ তাদের সহযোগী সুলতান ও জুবায়ের লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সেখানে মারা যান।
এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সোহেল রানার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। সেদিন মাজেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে এখন সোহেল রানার মৃত্যু হওয়ায় মারামারির মামলাটি হ,ত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে। সোহেলের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের পর নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ