ঢাকা : ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ৩ মাসের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ কর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যায়ন ও কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানোর কারণে আরও তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ কর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আলাদাভাবে পত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
আরো পড়ুন : শিক্ষা আইন ২০২০: শিক্ষকদের জন্য আসছে বড় দু:সংবাদ
শাস্তি পাওয়া প্রধান শিক্ষকরা হচ্ছেন, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরাস উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড়বলদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ আলী, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার বাঁশপাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শামীমা সুলতানা, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বরাটি নরদানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব আলী মল্লিক, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়দেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুর উদ্দিন।
এর আগে গত কয়েকদিনে আরও ১৮ জন প্রতিষ্ঠান প্রধানের তিন মাসের বেতন কর্তনের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট ২৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হলো।
২০১৮ সালের ১২ জুনের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন বৃদ্ধি করা পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আদেশ জারি করার বিধান ছিল। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নতুন পদে নিয়োগের জন্য আলাদা আদেশ জারির আগেই বৃদ্ধি পাওয়া নতুন পদকে শূন্যপদ দেখিয়ে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানো হয়। এনটিআরসিএ কর্তৃক মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়ার পরও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
গত কয়েকদিনে যে ১৮ জনের শাস্তি : শাস্তি পাওয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হচ্ছেন, পিরোজপুর সদর উপজেলার বাইনখালী মোজাহার মল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, রাজশাহী মহানগরীর মতিহার এলাকার বালাজান নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বকসীগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেহেরুজ্জামান।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহা, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাগান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মো. উমাম উদ্দিন নুরী, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার বাঘডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মিজান উল মওলা, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বি আর কে এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামিরুল ইসলাম, বরিশালের হিজলা উপজেলার বদন টুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল, বগুড়া সদর উপজেলার আলোর মেলা কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী সুশীল কুমার পাল, খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার অনাথ আশ্রম আবাসিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিটুন মিত্র, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র লস্কর।
পিরোজপুর সদর উপজেলার এপেক্স ক্লাব নৈশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর নজরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার আহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম হামিদ, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আলীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম এবং যশোরের মনিরামপুর উপজেলার আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান।
এছাড়া তিন মাসের বেতন কর্তনের নির্দেশ দেওয়া কলেজের অধ্যক্ষ দুজন হলেন, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার বাদগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার আজিজুল হক মোমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফর হোসেন।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ