ঢাকা: করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু থাকা স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কিট ও চাল-ডাল দেয়া হবে।
আরো পড়ুন : বৃহস্পতিবার ১টার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের যেসব তথ্য চেয়েছে সরকার
এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনায় সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেশের সব জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন : স্কুল খুললেই যেভাবে হবে প্রাথমিকের ক্লাস-পরীক্ষা
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ রোধ এবং বিস্তার প্রতিরোধে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। ফলে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ১০৪টি উপজেলায় বিস্কিট বিতরণ স্থগিত রয়েছে।
দ্রুতসময়ে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ১০৪টি উপজেলায় উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কিট এবং ১৬ উপজেলায় মিড-ডে মিল কর্মসূচির চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুন দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ৩০তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রকল্পভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কিট এবং মিড-ডে মিলের ১৬টি উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য সংগৃহীত ও মজুদ চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল বাড়িতে বাড়িতে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সে সিদ্ধান্তের আলোকে সামগ্রী বিতরণের এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দারিদ্র্যপীড়িত স্কুল ফিডিং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পের প্রাথমিক বিদ্যালয়ভুক্ত শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এককালীন ২০২১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কিট মজুদ থাকা সাপেক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগের গাইডলাইন অনুযায়ী বিতরণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বিস্কিট এবং চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল বিতরণ করতে নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের পরস্পর সমন্বয় করে এনজিওকর্মীদের মাধ্যমে বিতরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ