ঢাকা : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাই আগামী শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে সমান তালে চলতে পারছে না। ফলে ডিজিটাল গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক প্রযুক্তিগত সাপোর্ট প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী বুধবার (১০ নভেম্বর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কো হেডকোয়ার্টারে ৪১তম জেনারেল কনফারেন্সে ‘ফিউচার অব এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের উপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।
ডা. দীপু মনি ইউনেস্কোর এসডিজি ৪, এডুকেশন হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল ইউনেস্কোর সদরদফতরে হাই লেভেল সেগমেন্ট অব ২০২১ গ্লোবাল এডুকেশন মিটিংয়ে তাকে সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
প্যারিসে প্যানেল আলোচনায় ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে দীপু মনিবলেন, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে যদিও ইউনেস্কো ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। মানব সভ্যতা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও এগিয়ে যাবে। সঠিক শিক্ষাই তা নিশ্চিত করতে পারবে।
আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ভালো মানুষ ও দায়িত্বশীল বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
প্যানেল আলোচনা আরও অংশগ্রহণ করেন কিউবার শিক্ষামন্ত্রী এনা এলসা বেলাযকুয কবিইলা, স্লোভেনিয়ার শিক্ষামন্ত্রী সিমন কুসটেক প্রমুখ।
ইউনেস্কো ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিউচার অব এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ কার্যক্রম শুরু করে। এই জন্যে ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট শালে ওয়ার্ক জিউডিকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গঠন করা হয়। কমিটি দুই বছরে ১৯টি বড় মিটিং করে ফিউচার অভ এডুকেশন রিপোর্ট প্রস্তুত করে।
গতকাল প্যারিসে ইউনেস্কোর ৪১তম জেনারেল কনফারেন্সে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের চেয়ারপারসন দীপু মনি ইউনেস্কোর ৪১তম জেনারেল কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসডিজি ৪ অর্জনে সদস্য দেশগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা ও সহযোগিতা করার জন্য নতুন করে এই হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্বের প্রত্যেক অঞ্চল থেকে দুজন করে সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই