প্রাথমিকের ছুটির বিষয়ে যা বললেন ডিজি

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৪:০৫ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক শীতকালীন ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। 

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সোনালীনিউজকে এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

আরও পড়ুন : প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য জরুরী নির্দেশনা দিল শিক্ষা অধিদফতর

আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সোনালীনিউজকে বলেন, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে একটা দ্বিধা-দন্দ ছিল। শীতকালীন ছুটি বিষয়টি আমাদের স্থায়ী নির্দেশনায় ছিল। কোভিডকালীন সময়ে যেহেতু ছেলে-মেয়েরা পড়তে পারেনি এ কারণে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা শুধু শুধু একটা ইস্যু তৈরি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ক্লাস না করার কোন সুযোগ নাই। যেহেতু তারা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা ছুটিটা পরিবর্তন করে দিয়েছি। ২৩ তারিখ পর্যন্তই ক্লাস চলবে। ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি থাকবে। আমরা এ বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে একটা সার্কুলার জারি করেছি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-১ শাখা থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন) ও শীতকালীন অবকাশ বর্ষপঞ্জিতে উল্লেখিত ১৯-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের পরিবর্তে ২৪-২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২১ খ্রিস্টাব্দের বাৎসরিক ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌখিক বা লিখিত মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা দূর-দূরান্তে বেড়াতে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একই পরিবারের প্রাথমিকের শিশুরাও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একেবারেই কম। এই অবস্থায় আমরা ১৯ ডিসেম্বর থেকেই শীতকালীন ছুটি মঞ্জুরের দাবি জানাচ্ছি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ