ঢাকা : ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী- আগামী ১৯ জুন থেকে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। চলতি বছর কোন বিষয়ে কত নম্বরের পরীক্ষা, পরীক্ষায় রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিক অংশে কত নম্বর থাকবে এবং কীভাবে নম্বর ভাগ হবে, সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবে : এসএসসিতে এবার বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবে না : এসএসসিতে এবার চারটি বিষয় বাদ পড়ছে। সেগুলো হলো- ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান। বাদ দেওয়া বিষয়গুলোতে গতবারের মতো এবারও সাবজেক্ট ম্যাপিং করে নম্বর দেওয়া হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১২টি পত্রে ও এইচএসসিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মানবণ্টন যেভাবে : এসএসসিতে ইংরেজি প্রথমপত্রে ৫০ নম্বর, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রে ৫০ নম্বর আর ব্যাবহারিক আছে এমন বিষয়ে ৪৫ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে রচনামূলক ৩০ নম্বর আর এমসিকিউতে ১৫ নম্বর থাকবে। এছাড়া যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা নেই, সেসব বিষয়ে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০, এমসিকিউ ১৫) পরীক্ষা হবে।
শিক্ষাবোর্ড বলছে, আবশ্যিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাবিহীন বিষয়সমূহে (ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ব্যতীত) রচনামূলক অংশে চারটি প্রশ্নের উত্তরে ৪০ এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং এমসিকিউ অংশে ১৫টি প্রশ্নের উত্তরে ১৫-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষাযুক্ত বিষয়সমূহে রচনামূলক অংশে তিনটি প্রশ্নের উত্তরে ৩০-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং এমসিকিউ অংশে ১৫টি প্রশ্নের উত্তরে ১৫-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করা হবে এবং অবশিষ্ট ১৫ নম্বর ব্যবহারিকের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
এছাড়া ইংরেজি প্রথম ও ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রতিটি পত্রের ৫০-এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। এ পরীক্ষার সময় হবে দুই ঘণ্টা।
নম্বর বিভাজন : এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, কৃষিশিক্ষা বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় আটটি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ তিনটি প্রশ্নের মোট মান হবে ৩০। এছাড়া এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্ন থেকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫টি প্রশ্ন বাছাই করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। এই ১৫টি প্রশ্নের মোট মান হবে ১৫।
এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব ও বিশ্বসভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি বিষয়ে ১১টি প্রশ্ন থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। চারটি প্রশ্নের মোট মান হবে ৪০। এছাড়া এমসিকিউ ৩০টি প্রশ্ন থেকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫টি প্রশ্ন বাছাই করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। এই ১৫টি প্রশ্নের মোট মান হবে ১৫।
এছাড়া চারু ও কারুকলা ও সংগীত বিষয়ে ৬টি প্রশ্ন থেকে ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই তিন প্রশ্নের মোট মান হবে ৩০। এছাড়া চারুকলা বিষয়ে এমসিকিউ ১৫টি প্রশ্ন থেকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১০টি প্রশ্ন বাছাই করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, সহজ বাংলা দ্বিতীয়পত্র, আরবি, সংস্কৃত ও পালি বিষয়ে পাঁচটি প্রশ্ন থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ তিন প্রশ্নের মোট মান হবে ৩০। এছাড়া শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ে এমসিকিউ ১৫টি প্রশ্ন থেকে উত্তর দেওয়ার জন্য ১০টি প্রশ্ন বাছাই করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা। অন্যান্য বিষয়গুলোতে এমসিকিউ ৫০টি প্রশ্ন থেকে উত্তর দেওয়ার জন্য ২৫টি প্রশ্ন বাছাই করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ