ঢাকা: জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইমস্কেল নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (১১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।
এর আগে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেই পরিপত্র ও গেজেটের পর জাতীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন।
তবে পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইমস্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে শিক্ষকের টাইমস্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগ ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে রিট মামলাটি তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন।
পরে সারাদেশে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইমস্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীরা চাইলে মামলা করতে পারবে বলে আদেশ দেন আদালত। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আবেদন জানানো হয়।
সোনালীনিউজ/এন