চাহিদা মতো মিলবে না বিনামূল্যের পাঠ্যবই

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২২, ০৭:০২ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : স্কুল থেকে চাহিদা দিলেই এ বছর বিনামূল্যের পাঠ্যবই পাওয়া যাবে না। জেলা শিক্ষা অফিসে জমা হওয়া বইয়ের চাহিদা পত্র কয়েক দফায় যাচাই বাছাই করে তবেই স্কুলগুলোকে দেয়া হবে বিনামূল্যের বই। কাগজ সংকটে এ বছর বই ছাপা নিয়েও প্রথম থেকেই প্রচন্ডভাবে চাপে ছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তাই বইয়ের অপচয় ঠেকাতেই বই বিতরণে বাড়তি এই মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। সূত্রমতে পাঠ্যবই ছাপার কাজ চলছে। বই বিতরণ শুরু করার পরেও ঘাটতি পুরণে পাঠ্যবই ছাপা অব্যাহত থাকবে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন বছরের প্রথম দিনে রীতি অনুযায়ীই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে সারাদেশে বই উৎসব পালন করা হয়। কিন্তু এবছর বিশ্বব্যাপী কাগজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারণে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়া এখনো সরকারের জন্য বড়  চ্যালেঞ্জ। তার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অনেক জেলা উপজেলায় বই পৌছে দেয়াও শুরু হয়েছে। এনসিটিবি চেষ্টা করছে চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে সবগুলো জেলায় বই পৌছে দিতে।  

এদিকে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই বিতরণ নির্দেশিকা অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয় পর্যায়ে বই বিতরণ শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।  নির্দেশনায় বিভাগীয় উপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের বিষয়টি মনিটরিংসহ প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ডিপিই সূত্র জানায়, প্রতি বছরের মতো এ বছর চাহিদা দিলেই সব পাবে না স্কুলগুলো। বই বিতরণের আগে স্কুলগুলোর চাহিদা আরো যাচাই বাছাই করে দেখা হবে চাহিদা ঠিক আছে কিনা। অনেক স্কুলেই দেখা যায় গড়পড়তা একটা হিসেব করে নতুন বছরের জন্য বইয়ের চাহিদা জমা দিয়ে বিনামূল্যের বই সংগ্রহ করে। কিন্তু এবছর ক্লাস ভিত্তিক চাহিদা এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ও ক্লাসের হাজিরা খাতার পরিসংখ্যান অনুযায়ীই সব তথ্য মিলিয়ে তারপরেই স্কুলগুলোকে বই দেয়া হবে। 

এর আগে মঙ্গলবার ডিপিই থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বই বিতরণ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন এবং ২৭ ডিসেম্বর থেকে বই বিতরণ মনিটরিং করার কথা বলা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণের নির্দেশিকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এমতাবস্থায়, অনুমোদিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তক আগামী ২৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে বিদ্যালয় পর্যায়ে বিতরণ করা হবে। একই সাথে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করার জন্য বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সমন্বয়ে তিন  স্তরের মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার ডিপিই’র উপপরিচালক মো: ইমামুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে জেলা উপজেলা পর্যায়ে অনেক বই পৌছে গেছে। আমরা এখন সেই বইগুলো স্কুলের তালিকা অনুসারে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে বইয়ের অপচয় যাতে না হয় এবং বইয়ের বিতরণে যেন কোনো প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্যই আমাদের তিন স্তরের মনিটিরিং টিম পাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।

সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ