ভূমিকম্পে ঢাবির হলে ক্ষয়ক্ষতি, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

  • ঢাবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম

ঢাকা : শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে, তাছাড়া রিডিং রুমের জানালার গ্লাস, দুতলার বারান্দার একটি অংশও ধ্বসে পড়েছে।

এতে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ গুরুতর আহত না হলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে ৫.৬ রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ- উত্তরদক্ষিণে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।

[212454]

সরজমিনে দেখা যায়, ভূমিকম্পে হলটির কয়েকটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে, দোতলার বারান্দার কার্নিসের একটি অংশ এবং রিডিং রুমের দরজার কাচ ভেঙে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হলের বাইরে নেমে আসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ভূমিকম্প শুরু হলে সবাই কক্ষ থেকে বেরিয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এর মধ্যেই হলের তৃতীয় তলা থেকে একজন শিক্ষার্থী লাফিয়ে পড়েন।

আতঙ্কিত একজন শিক্ষার্থী জানান, সকালে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে ভয়ে দৌড়াতে থাকি। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করার মত জায়গা ছিলো না। অল্প কয়েকজন নিচে নামতে পেরেছিলো। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আমার হাত ছিলে গেছে। আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে কি হবে জানি না, তবে এটা নিশ্চিত অনেক শিক্ষার্থীসহ ভবনটি ধ্বসে পড়তে পারে সহজেই।

সার্বিক বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আজকের ভূমিকম্পে আমাদের হলের কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমন কেউ আহত হবার খবর আমরা পাইনি। এর আগের বারের ভূমিকম্পেও আমাদের হলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। তখন বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে দূর্বল স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার করা হয়েছিলো। নতুন ভব নির্মানের ব্যাপারে আমরা অনেকবার উপর মহলে কথা বলেছি তবে মেগা প্রজেক্ট পাশ হলে তবেই আমরা নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারবো।‘

আজকের ভূমিকম্প নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘এই ধরণের ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই। তবে বাংলাদেশ যেহেতু ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, এজন্য যেকোনো সময় যেকোনো ধরণের বড় কিংবা মাঝারি ভূমিকম্প হতে পারে। সুতরাং, তীব্রতা বিবেচনায় রেখে আমাদের ভবন নির্মাণ করা উচিত।’

এমটিআই