‘রাসেল ভাইপার’ সাপের কামড়ে মারা গেলেন রাবি শিক্ষার্থী

  • রাজশাহী ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম

রাজশাহী: বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাকিনুর রহমান সাব্বির নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর পাড়ে তিনি সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সাব্বির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।

সাব্বিরের সাপের কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তার বন্ধু রাকিবুল ইসলামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রথমে জানায়। বন্ধুটি তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমার বন্ধুকে গত সন্ধ্যায় রাসেলস ভাইপার বাইট করেছে। ৩৫ মিনিটের মধ্যে আল্লাহর রহমতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ভ্যাক্সিন পুশ করার পরের কিছু সময় ভালো ছিল। আজকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। খুব টেনশন হচ্ছে। আপনারা সবাই আমার বন্ধুর জন্য দোয়া করবেন প্লিজ। সে যেন আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসে।’ পরে আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি সাব্বিরের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।

রাকিবুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, মাগরিবের নামাজ শেষে কয়েকজন বন্ধু মিলে মোক্তার বাজার সংলগ্ন পদ্মার পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সেখানে বসে সবাই জিলাপি খাচ্ছিলাম। জিলাপি খাওয়া শেষে আমাদের মধ্যে একজন কাগজের প্যাকেটটা ফেলে দেয়। সাব্বির হাত মোছার জন্য সেই কাগজটা তোলার সময় বিষধর রাসেলস ভাইপার তাকে কামড় দেয়। তখন সাপটিকে মেরে আমরা বন্ধুরা তাকে আধাঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু শেষমেশ তাকে আর বাঁচানো গেল না।

[222836]

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীটি মারা গেছেন তার মৃত্যুর কারণ রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়। এই সাপ কাউকে কামড় দিলে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনামুল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাব্বির অতি দরিদ্র পরিবারের একজন। তার পরিবার অন্যের জমিতে বসবাস করে। সাব্বির চারঘাট উপজেলা থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতো এবং পদ্মা নদীর পাড়ে টিউশনি করাত। সেখানেই গতকাল তাকে বিষধর কামড় দিয়েছে।

এমএস