বেরোবি: আবু সাঈদসহ সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে বিকেল ৪টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় শিক্ষকরা একটি মৌন মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর অবস্থান নেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন ওয়াদুদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মতিউর রহমান, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষ মাহবুবুর রহমান, একই বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জান্নাত তুশি সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা।
এসময় শিক্ষকরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে তারা ন্যায় বিচার পাবে কিনা এ বিষয়ে আমরা শিক্ষক সমাজ সন্দিহান।
[228596]
সরকার দলীয় প্রশাসন জনগনের টাকায় কেনা অস্ত্র এবং বেতনভোগী কর্মচারীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গুলি করল, হত্যা, গুম করলো।
শিক্ষকরা আরো বলেন, আমরা আরো দেখলাম আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে রাতারাতি পুলিশ তাকে রাতের মধ্যেই দাফন করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। এমনকি পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তারা লাইন দিয়ে পুলিশের হেফাজতে আবু সাঈদের মৃতদেহ নিয়ে গেছে।
এ রকম অবিচার বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিলো পাকিস্তানের শাসন আমলের।
শিক্ষকরা বলেন, আমরা দেখলাম আবু সাঈদ কে হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় কি নৃশংসভাবে হামলা করলো, আর পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখলো । এই হলো পুলিশ ও তাদের অবদান। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছিলাম রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এদেশের পুলিশ কী অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পুলিশ আর এখানকার সময়ের পুলিশের কত পার্থক্য।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৪৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এমএস