ক্ষমা চেয়েও পার পাচ্ছেন না বিতর্কিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

  • বরিশাল প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
ফাইল ছবি

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্য হিসেবে যোগদানের ৬ মাসের মাথায় একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়া। যোগদানের পর চেয়ে চেয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা নেওয়া, প্রথম নিয়োগেই অনিয়ম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যাকারী ও ফ্যাসিজমের সমর্থন করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীরা তাকে ২১ দফা দাবি দিয়ে তা না মানলে পদত্যাগের দাবি জানান। পরে তিনি এসব দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটা ঘটনাগুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

সেসময় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরা হলে আমার পরিবার। পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় লজ্জার কিছু নেই, বরং আন্তরিকতা আরও বাড়ে। এটা আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ।’

[230014]

এদিকে উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়ার একটি ভিডিও এরইমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ৰাউন্ড ফ্লোরে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ মার্চ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা নেন তিনি। পরে সেই রুমভর্তি ফুলের মাঝে বসে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। যেখানে ক্যাপশনে লেখা ছিলো, ‘মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়’।

এরপর মুহূর্তেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গেলে শুরু হয় সমালোচনার। বিভিন্ন সমালোচনা ও বিতর্কিত কমেন্টসের পর তিনি পোস্ট সরিয়ে ফেলেন।

বদরুজ্জামান ভুইয়া উপাচার্য হওয়ার পর গত ৫ মে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রথম শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে যা চাপের মুখে পড়ে বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, আস্থাভাজন একজন শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিতে পিএইচডিধারী দুই প্রার্থীকে ইন্টারভিউ কার্ড দেননি উপাচার্য। এ ঘটনায় তাকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু সালেহ উকিল নোটিশ দেন। পরবর্তীতে সে ঘটনায় অনিয়ম হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাকে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ২১ দফা দাবিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে এক সভায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা গ্রাহ্য না করে সোমবার তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুইয়ার সঙ্গে যোগাযোগের করলে তিনি এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।

এসআই