কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) চার জন শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ গৃহীত হয়।
[234097]
কমিটিতে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আল-ফিকহ এণ্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. হামিদা খাতুন। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। কমিটির সদস্যদের নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশাকরি দ্রুতই একটা ভালো ফলাফল হাতে পাবো।
[234101]
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর বিকেল চারটার বাসে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিক ইকবাল সাদ ও অনিকা আশরাফী নামের দুই শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে অন্য কয়েক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় নিজেই হামলার শিকার হয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোরসালিন মুন। তবে এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-২৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানীকে ঘটনার মূল হোতা বলে অভিযোগ করেছেন সাদ ও অনিকা। এদিকে এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
এই ঘটনার মঙ্গলবার হামলার বিচার ও নিরাপত্তা ও মিথ্যা অপবাদের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দেয় উভয়পক্ষ।
এসএস