বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস আটকে রেখেছে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম কলেজ) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বহনকারী এই বাসগুলো কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে আটকে রেখে তা ক্যাম্পাসের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে হামলা চালায় এবং কলেজের তিনটি বাস ভাঙচুর করে। সেই সময় বিএম কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় যে, ভাঙচুর করা বাসগুলো মেরামত করে দেবে। তবে দেড় মাস পার হয়ে গেলেও বাসগুলো মেরামত না হওয়ায় এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হওয়ায় তারা প্রতিবাদস্বরূপ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস আটক করে।
[235345]
এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরাই প্রথমে তাদের বাস ভাঙচুর ও মারধর করেছিল। এ অবস্থায় তারা কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ দাবিও মেনে না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। অন্যদিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বাসগুলো মেরামত না করা পর্যন্ত এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছে।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের বাস দুটি আটকে রাখার বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, ঘটনার সূত্রপাত ৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনা থেকে, যখন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজে হামলা চালায় এবং বাস ভাঙচুর করে। বাসগুলো মেরামত না করায় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচল করতে পারছে না, ফলে তারা এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, পরিস্থিতির পরিবর্তিত সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে দেশে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে কিছুটা শূন্যতা ছিল। উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই আমাদের সন্তান সমান এবং আমরা চেষ্টা করছি যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি আরও জানান, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিষয়টির সমাধানের জন্য বৈঠক হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা হয়তো সঠিক তথ্য না জানায় বাসগুলো আটকে রেখেছে।
[235352]
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, পুরানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বাস দুটি আটক করেছে। আমরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং আশা করছি, শিগগিরই বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজের প্রশাসন উভয়পক্ষই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাস মেরামতের জন্য মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
এসএস