ঢাকা: সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র ক্যান্টিন ‘বাঁশেরকেল্লা’। দীর্ঘ ১৯ বছর বন্ধ থাকার পর ‘সবারে করি আহ্বান’ শ্লোগানে ২০২২ সালের ২৬ শে জুলাই শিক্ষার্থীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই ক্যান্টিনটি উদ্বোধন করা হয়। তবে দু’বছর না পেরোতেই আবারও এটি বন্ধ হয়ে যায়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা বন্ধ থাকা বাঁশেরকেল্লা ক্যান্টিন পুনরায় চালু করার জন্য কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়।
এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১১ নভেম্বর) সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শিমুল এবং শিক্ষার্থী আরিয়ান আল-আজিমকে ১ নং স্টল বরাদ্দ দেয় ক্যান্টিন তত্ত্বাবধায়ক কমিটি। এছাড়াও লিখিতভাবে আরও তিন শিক্ষার্থীকে একটি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্টল বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থী কায়েস মাহমুদ বলেন, ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে অনেকে আবেদন করেছে সবারই অধিকার আছে ক্যান্টিন পরিচালনার তাই কলেজ প্রশাসন ক্যান্টিনকে পাঁচটি স্টলে ভাগ করে সবাইকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, যারা অন্য স্টল গুলোর বরাদ্দ পেয়েছে তাদের সাথে সমন্বয় করে বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকা ক্যান্টিন উদ্বোধনের সম্ভবনা আছে।
[237048]
১ নং স্টল বরাদ্দ পাওয়া ছাত্রদল নেতা হাসিবুল হোসেন শিমুল বলেন, আমি একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যান্টিনে স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি এবং স্টল পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনো ধরণের রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করিনি। ক্যান্টিন উদ্বোধনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ হয়নি সবার সাথে সমন্বয় করে একসাথে উদ্বোধন করতে চাই।
এই বিষয়ে ক্যান্টিন কমিটির সদস্য প্রভাষক মোহাম্মদ হাবিবুন্নবী বাবু বলেন, আমরা কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে স্টল বরাদ্দ দেইনি। সে (হাসিবুল হোসেন শিমুল) আমাদের কাছে একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
আমি তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে অবগত নই। এছাড়াও ক্যান্টিনকে পাঁচটি স্টলে ভাগ করার বিষয় তিনি জানান, ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনেকে আবেদন করেছে তাই কাউকে এককভাবে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এজন্য আমরা ক্যান্টিনকে পাঁচটি স্টলে ভাগ করেছি যাতে সবাই সন্তুষ্ট থাকে।
ক্যান্টিন কমিটি সমন্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম সেলিম বলেন, ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে অনেকগুলো আবেদন এসেছে। আবেদনকারীদের অধিকাংশই নিয়মিত ছাত্র হওয়ায় এবং সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যান্টিনকে পাঁচটি ফুড কোডে ভাগ করে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য।
এআর