ঢাকা : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এ আক্রান্ত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবণতির কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তাকে এখন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
রাজীব জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫–এ নেমে আসে। যার কারণে চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেশন নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে ফকির আলমগীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০–এ উন্নীত হয়েছে।
তার বাবার ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত। স্বাভাবিক নিয়মে তাকে খাবার খাওয়ানো যাচ্ছে না। নল দিয়ে তরল খাবার দিতে হচ্ছে। সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন মাশুক।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে কভিড ইউনিটে ভর্তির পরপরই তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে।
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই