ঢাকা : অর্থ আদায়ের জন্য বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই মাদক মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) কাছে এমনই দাবি করেছেন বিজয় পাগাড়ে নামে এক সাক্ষী।
আর এ ক্ষেত্রে সুনীল পাটিলের নামও উল্লেখ করেছেন বিজয়। এর ফলে মাদক মামলা নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, নতুন মোড় নিচ্ছে ততই।
গত ৩ অক্টোবর গ্রেফতারের তিন সপ্তাহ জেলে কাটানোর পর আরিয়ান (২৩) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
এদিকে গতকাল শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ান মাদককাণ্ডের পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) ঘনিষ্ঠ সুনীল। বিজয়কে জেরা করার সময় তিনি সুনীলের নাম করেছেন বলে দাবি সিটের তদন্তকারীদের।
মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা বিজয়ের দাবি, ২০০৮ সালে কিছু কাজের জন্য সুনীলকে বেশ কিছু রুপি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই অর্থ ফেরত পাচ্ছিলেন না। টাকা আদায়ের জন্য সুনীলকে অনুসরণ করা শুরু করেন। সুনীলের সঙ্গে তিনি আমদাবাদ, সুরত ও মুম্বাই গিয়েছিলেন।
বিজয়ের আরও দাবি, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নভি মুম্বাইয়ের এক হোটেলে ছিলেন সুনীল। ওই হোটেলেই এই ঘটনার আর এক সাক্ষী কে পি গোসাভির নামেও একটি ঘর বুক করা হয়েছিল।
বিজয়ের দাবি, প্রমোদতরীতে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) অভিযান চালানোর কয়েকদিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালী। বিজয়ের কথায়, ‘আমিও তখন ওই হোটেলেই ছিলাম। তাদের তিনজনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। এমনকি সুনীলকে চুম্বন করার পর মণীশকে বলতে শুনেছিলাম বড় কাজ হয়ে গিয়েছে। আমদাবাদের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। তবে পাগাড়েকে সঙ্গে নিও না।’
কী ঘটতে চলেছে সেটা অনুমান করতে পারছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন বিজয়।
বিজয়ের আরও দাবি, ৩ অক্টোবর ফের নভি মুম্বাইয়ের সেই হোটেলে আসেন। তার সঙ্গে দেখা করে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারপরই তারা দু’জনে এনসিবির কার্যালয়ে যান। রাস্তাতেই মণীশ ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন তিনি পূজা, স্যাম ও ময়ূর নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করেন।
তার কথায়, ‘এনসিবি কার্যালয়ে পৌঁছতেই দেখি সেখানে সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। তারপরই শুনতে পাই আরিয়ান খানকে আটক করেছে এনসিবি এবং একটি ভিডিও ক্লিপে দেখতে পাই যে আরিয়ানকে ঘিরে নিয়ে আসছেন মণীশ ও গোসাভি। তখনই বিষয়টি আমার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এটা পুরোপুরি পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা।’
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি বিজয়ের। কিন্তু তার কথা শোনা হয়নি।
বিজয় বলেন, ‘প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল আমাকে বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব। ব্যস ওইটুকুই। পরে বুঝলাম কাজটা কী ছিল ও কিভাবে টাকা এসেছে।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
সোনালীনিউজ/এমটআই