ঢাকা : মা শ্বেতা তিওয়ারি টেলিভিশন দুনিয়ার নামকরা অভিনেত্রী। তবে পলক তিওয়ারির অভিনেত্রীর হওয়ার বাসনা কিন্তু মাকে দেখে হয়নি। এমনকি ছোটবেলায় জানতেনও না যে, মা অভিনেত্রী।
তাহলে অভিনয় জগতে এলেন কী করে? উত্তরে বলিউডের এই নবাগত নায়িকা বলেন, ‘ছোটবেলায় নাইনএক্সএম চ্যানেলে মিউজিক ভিডিও দেখতাম। সেই সব ভিডিওতে নায়িকাদের পাহাড়ে, ঝরনায় রোমান্স করতে দেখে স্থির করে নিয়েছিলাম, আমাকে অভিনেত্রী হতেই হবে। তখন জানতাম না যে আমার মা অভিনেত্রী। মা কখনো চাননি আমি অভিনয় করি। অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা দেখে তিনি শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান।’
পলকের বলিউড অভিষেকটা যে বেশ জোরদার হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখলেন।
এই বলিউড সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করতে কতটা নার্ভাস ছিলেন? জবাবে পলক বলেন, ‘তিনি (সালমান) অত্যন্ত হেল্পফুল। আমাদের সব সময় ভীত না হওয়ার কথা বলতেন। তিনি জানেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের সামনে আমাদের মতো নবীনদের কী হাল হতে পারে। তাই সব সময় তিনি সবাইকে সহজ করে দিতেন।’
পলকের ছোটবেলাটা আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক ছিল না। তার মা–বাবার তিক্ত সম্পর্কের আঁচ তাঁকে কতটা প্রভাবিত করেছে, এ ব্যাপারে পলক বলেন, ‘মা আমাকে আর ভাইকে এসব থেকে দূরে রেখেছিলেন।
আমরা যাতে সব আরাম আর সাচ্ছন্দ্য পাই, সে ব্যাপারে তার নজর ছিল। তিনি যা যা পাননি, আমাদের দুই ভাই-বোনকে তার সবকিছু উজাড় করে দিতে চেয়েছেন। আমি আমার মায়ের মেয়ে হওয়ার জন্য গর্ব অনুভব করি।’
কখনো সাইফ আলী খানের ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক, কখনো বা নিজের পোশাকের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই চর্চায় উঠে আসেন পলক। ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুজব পুরোপুরি মিথ্যা বলে জানান পলক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক খবর তাকে কতটা প্রভাবিত করে?
পলক বলেন, ‘আমার মনে হয় মানুষের জীবনে অনেক বড় বড় সমস্যা আছে। সে তুলনায় এটা কোনো সমস্যাই নয়। আমার পোশাক নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে কেউ কিছু বললেন, এসব আমাকে খুব একটা প্রভাবিত করে না। আমার মনে হয়, এই সবকিছু অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে। আমি অভিনয় করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। তাই কোনো ধরনের নেতিবাচক খবরে আমার কিছু যায় আসে না।’
পলককে আগামী দিনে দুটি ছবিতে দেখা যাবে। এই দুই ছবির মূল নায়িকা তিনি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই