একসাথে সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়: শাকিব খান

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

ঢাকা : ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। প্রায় দেড়যুগ ধরে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের সিনেমা। তার সিনেমা মুক্তি মানেই দর্শকদের মাঝে তৈরি হয় বাড়তি উন্মাদনা। নির্মাতা-প্রযোজকরাও চোখ বুঝে ভরসা রাখেন এই নায়কের ওপর। শাকিবও সেই প্রতিদান নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন। চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্র যেখানে থমকে যাওয়ার উপক্রম, সেখানেই হুট করে জ্বলে ওঠেন শাকিব।

২৮ মে ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূরণ হয়েছে তার। ভারত, মালয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড, লন্ডন হয়ে অস্ট্রেলিয়া! অর্জনের ঝুলিতেও তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি অসংখ্য দেশ-বিদেশের পুরস্কার-সম্মাননা জমা করেছেন তিনি।

নিজের এমন সাফল্য প্রসঙ্গে শাকিব আরও বলেন, ‘আসলে সাফল্যের কোনো মূলমন্ত্র নেই। তবে একজন হিরোর সাফল্যের মূলমন্ত্র কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসা। নায়ক যদি দর্শকদের চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দেয় তাহলে দর্শকদের কাছে সে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সাফল্যও আসে।’ দর্শকরা তাকে সেই ভালোবাসা দিতেও কার্পণ্য করেননি। সেই জায়গা থেকে নিজেকে বাংলাদেশের সিনেমার আচ্ছ্বাদন মনে করেন কি-না প্রশ্নে শাকিব বলেন, ‘আমি যখন যে কাজটি করি, তা শতভাগ মনোযোগ দিয়েই করি। সেই কাজের সঙ্গে আমার প্রেম থাকে। এখন দর্শক আমাকে বাংলাদেশের সিনেমার শামিয়ানা মনে করলে তাদের রায় মাথা পেতে নেবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক বছর ধরে দেখেছি একটা স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে এমনটা করেন। তাদের কথায় কান দিলে অনেক আগেই থেমে যেতে হতো। দশ জন আমার খারাপ চাইলেও কোটি মানুষ আমার জন্য ভালো চায়, আমার জন্য দোয়া করে। তাদের ভালোবাসার শক্তিতে আমি দ্বিগুণ এগিয়ে যাই। সবাইকে খুশি করে চলা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। সবসময় আমার কাজটা করেছি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো করে যাব।’

তবে ক্যারিয়ারের শীর্ষে অবস্থান করা এই নায়ক বিগত ১০ বছরে বেশ সমালোচিতও হচ্ছেন। অপু-বুবলীর সঙ্গে প্রেম, বিয়ে ও ডিভোর্স, বারবার বয়কটের শিকার, মানহানি মামলা, সন্তান নিয়ে থানা-পুলিশ ইত্যাদি নিয়ে বেশ সমালোচিতও এ নায়ক। যদিও সেগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই শুধরে নিয়েছেন তিনি। তবে এতে ক্যারিয়ারের একটু হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কি-না?—এমন প্রশ্নে শাকিব বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়া পিছিয়ে পড়া খেলারই অংশ। দুই যুগের ক্যারিয়ারে এত কিছু দেখেছি যে, এখন কোনোকিছুতে অবাক হই না। যতক্ষণ দর্শকের অন্তরে আছি আমাকে ঠেকায় সাধ্য কার? আমার শিকড় ইন্ডাস্ট্রি এবং দর্শকের অন্তরে গাঁথা আছে। ওটা কী রোখা যাবে?

সোনালীনিউজ/এমটিআই