ঢাকা : বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। গুঞ্জন উঠেছে রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন তিনি। ভারত সমাচারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুনিয়র বচ্চন নাকি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে (এসপি) যোগ দিতে চলেছেন। এমনকি আগামী নির্বাচনে এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে অভিষেকের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর কথাও শোনা যায়। সত্যিই কি তাই? এ সত্য জানার জন্য উদগ্রীব জুনিয়র বচ্চনের ফ্যানেরা। তাই অনুরাগীদের কথা মাথায় রেখেই মুখ খুললেন অভিষেক।
অভিনেতা বলেন, ‘এটা একেবারে অসত্য, এমন কোনো কিছু হচ্ছে না।’ রাজনীতিতে পা রাখার খবর কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়ে দেন যে এই খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা।
এর আগে ২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমার মা-বাবা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আমি কখনোই এটা করব না। আমি রাজনীতিকের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি, তবে বাস্তব জীবনে কখনোই নয়।’
[203556]
অভিষেক রাজনীতির সঙ্গে না থাকলেও সিনেমার বাইরে রাজনৈতিক পরিবারেরই একজন। ১৯৮৪ সালে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধু রাজীব গান্ধীর সমর্থনে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে রাজনীতিতে আসেন অমিতাভ বচ্চন। তবে তার রাজনৈতিক জীবন খুব অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। এলাহাবাদের আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিগ-বি এবং ৬৮ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে ৮ম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে বোফর্স কেলেঙ্কারিতে তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় ইস্তফা দেন অমিতাভ বচ্চন। পরে বলিউড শাহেনশাকে বলতে শোনা যায়, তার রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত আবেগপ্রবণ ছিল। কিন্তু যখন তিনি রাজনীতিতে নামেন, তখন বুঝতে পারেন এখানে আবেগের কোনো জায়গা নেই।
এদিকে ২০০৪ সালে প্রথম সমাজবাদী পার্টি (সপা) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জয়া বচ্চন। ২০০৬-এ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যসভায় উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০১২-য় তৃতীয় মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালে সপা থেকে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই