ঢাকা : প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে এসেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে শ্যুটিং করতে গিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। সেখানে শ্যুটিং সেটে কোরিওগ্রাফার অনুমতি না নিয়ে হাত ধরায় বিরক্ত হন সায়ন্তিকা। সেই কোরিওগ্রাফারের বদলসহ তিনি ও জায়েদ খান দুজনেই অভিযোগ করেন প্রযোজকের বিরদ্ধে।
এবার আবারও জায়েদ ও সায়ন্তিকাকে নিয়ে অভিযোগ করলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তার দাবি, এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিলো। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এই সিনেমা শুরু করেন তিনি। নইলে এই ছবির কোনো পরিকল্পনা তার ছিলো না। প্রযোজক আরও দাবি করেন, জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে তাকে ফাঁসিয়েছে।
প্রযোজক বলেন, আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, সেটা আমি একজন সিনেমার মানুষ হয়ে মেনে নিবো না। কারণ আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দিবো না। এর সমাধান না হলে কাজ আর করবো না। যা ক্ষতি হয় হবে।
[207808]
অন্যদিকে জায়েদ খান এ প্রসঙ্গে বলেন, এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিলো যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিলো। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা–কাজে মিল নেই।
এ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ঢাকা চলে এসেছি। এরপর শুনেছি, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা যেনো ছিলেন হোটেলে। সেই টাকা তো আমি দিবো না। কারণ, আমার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। আর জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকা ধরা হয়েছে। এত সব মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করবো না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করবো।
এমটিআই