ঢাকা : সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন মডেল ও নাটকের অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। ওই ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবকের সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ হয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে যুবক জেবার কপালে চুমু এঁকে দিচ্ছেন। ভিডিওর আরেকটি অংশে দেখা যায় খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থায় জেবাও ওই যুবককে চুমু দিচ্ছেন।
ভিডিওর সঙ্গে জেবা ক্যাপশনে লিখেছেন, ভালোবাসা হচ্ছে অন্তত এটা নিশ্চিত করা যে তুমিও মূল্যবান, সম্মানিত, অগ্রাধিকার পাওয়া, সঠিক বোঝাপড়া এবং তোমাকে সমর্থন করা।
কে এই যুবক এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। এ বিষয়ে জেবা নিরুত্তর। যদিও একটি ফ্যাশন কোম্পানির লিঙ্ক যুক্ত করেছেন ভিডিওর ক্যাপশনের নিচে। আর এতেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে এটা কি শুধুই বিজ্ঞাপন?
[216965]
কেননা একটি সাক্ষাৎকারে জেবা বলেছিলেন তার রোমান্টিক দৃশ্য করতে একদমই ভালো লাগে না। তিনি বলেছিলেন, আমার রোমান্টিক সিন করতে একদমই ভালো লাগে না, আমার রাফ অ্যান্ড টাফ ভালো লাগে।
কিছুদিন আগে জেবা জান্নাতকে নাটক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নাট্য নির্মাতা রাশেদা আক্তার লাজুকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেবাকে নিষিদ্ধ করা হয়। ডিরেক্টরস গিল্ড এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞা জানায়।
এ ঘটনার পর নির্মাতা লাজুক ও তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন জেবা। তার দাবি, সাজ্জাদ তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। যেটা না মানার কারণে তার বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শুধু নির্মাতা দোদুলের বিরুদ্ধেই যে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ করেছেন তা নয়, বরং অন্য আরও পরিচালকের বিরুদ্ধেও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেবা বলেন, শুধু দোদুলই নয়, অনেক পরিচালক হোটেল-রেস্টুরেন্টে ডাকেন তাকে। তারা টাইমপাস করতে চান, নাটকের কাজ দিতে চান। এ নিয়ে আগে কথা বলিনি কিন্তু এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি।
[216956]
অবশ্য দোদুল বলেছিলেন, জেবাকে কোনো কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়নি। জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের অভিযোগ করছে। তার সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন নির্মাতা দোদুল।
এমটিআই