নিপুন প্যানেলে সভাপতি হতে পারেন শাকিব খান নতুবা মাহমুদ কলি

  • আকাশ নিবির | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৪, ০৩:২০ পিএম

ঢাকা: চিত্রনায়ক শাকিব খান কি নিপুণের প্যানেলে আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে যাচ্ছেন? আবার অনেকেই বলছেন শাকিব খান না হলে মাহমুদ কলিকে সভাপতির আসনে দাঁড় করানো হতে পারে। আর দুইজন নির্বাচনে না আসলে অমিত হাসান হবেন নিপুন প্যানেলের শেষ ভরসা। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।  

সূত্রটি আরও বলেছেন, শাকিব খানকে নিপুন প্যানেলে আনতে হলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হতে পারে। কারন শাকিব খান বরাবরেই টাকার পাগল। তাকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে সভাপতি আনতে হলে তাকে অবশ্যই মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে। নতুবা শাকিব খান কখনোই এই সমিতির দায়িত্ব নিবেন না। তবে জায়েদ খানকে সমিতি থেকে সরাতে শাকিব খানের বড় ভুমিকা রয়েছে বলেও সূত্রটি থেকে আভাস পাওয়া গেছে! 

[218553]

এদিকে গতকাল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পিকনিকে চিত্রনায়ক অমিত হাসান বলেছেন, তিনি যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন শাকিব খান সভাপতি ছিলেন। তাই আসন্ন নির্বাচনে শাকিবকে আনার চেষ্টা করছেন অমিত হাসান। অমিত হাসান বলেন, আমি নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছি এটা সত্য, কোন পদে নির্বাচন করবো এটা আমার ফাইনাল করা হয়নি। আশা করছি তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আমি ঘোষণাটা দিয়ে দেব।

শাকিবকে প্যানেলে আনার চেষ্টা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সুন্দর একটি প্যানেল করার চেষ্টা করছি। আমরা শাকিবকে আনার চেষ্টা করছি। সবকিছু মিলিয়ে কী হয় আপনারা জানতে পারবেন। আমি যখন নির্বাচন করেছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মিশার বিরুদ্ধে জয়লয়াভ করেছিলাম। তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি শাকিব খান। 

[218631]

এদিকে, এবারের নির্বাচনে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ফলে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য এখনো সামনে অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা অনুমান করছেন।

গতকাল ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার পিয়াংকা শুটিং হাউজে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে এক সভায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[218607]

তথ্যটি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে এবার তিনি প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন।

খসরু জানান, বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে দেয়া হয়।