ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নতুন দায়িত্ব পেয়েই চলচ্চিত্রের আমূল পরিবর্তনের আভাস দিলেন তিনি। দেশ জুড়ে জেলা শহরগুলোতে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণের কথা বলেন এই অভিনেতা। পাশাপাশি এফডিসিকে চাঙ্গা করে তুলবেন।
তিনি বলেন, আমাকে কোনো কারণে শিল্পীরা পছন্দ করে এজন্যই ভোট দিয়েছেন। আমিও কৃতজ্ঞ তাদের কাছে।শিল্পীদের বেকারত্ব আমি দূর করতে পারব কি না জানি না। তবে আমি সারা বছর সিনেমা বানাব। সেখানে শিল্পীরা কাজ করবেন। আমার সেন্সর করা তিনটা সিনেমা আছে। সেসব রিলিজ দেব। গরম কমলে আরও ৫টা নতুন ছবির কাজ শুরু করব।
[221916]
ডিপজল বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে ব্যবসায়ী। আমি একা বড় ভাইয়ের অনুরোধে ফ্লিম করতে এসেছি। চলচ্চিত্র থেকে আমার নিবার কিছু নেই। বরাবরই দিতে চাই। চলচ্চিত্রে এসে অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি। এখন শুধু দেবার পালা। যখন দেখলাম আমাদের চলচ্চিত্রের বেহাল দশা তখন মনে হয়েছে কিছু করা দরকার। প্রথমে বিদেশি সিনেমা ঠেকানোর কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিনেপ্লেক্সগুলিতে দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার, পাঁচশত টাকা লাগে সিনেমা দেখতে। এতো টাকা দিয়ে অনেকে সিনেমা দেখবে না। তাছাড়া শুনেছি সিনেপ্লেক্স থেকে কোটি টাকার টিকেটে প্রযোজক পায় ১২ লাখ টাকার মতো। তাতে করে সিনেপ্লেক্সগুলি সুবিধা ভোগ করেছে। দেশীয় সিনেমার লাভ হচ্ছে না। বর্তমানে দেশের অনেক সিনেমা হলের বেহাল অবস্থা। সেই জন্য নিজ অর্থায়নে ৬৪ জেলায় ডাবল করে মাল্টিপ্লেক্স করব। সেখানে টিকেটের দাম পড়বে মাত্র ২০০ টাকা। সরকারীভাবে সাহায্য করলে ভাল নতুবা নিজ উদ্যোগে তিনি এমন কাজ করার কথা জানান।
[221914]
এছাড়াও ডিপজল বলেন, হিন্দি সংস্কৃতি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির জন্য খারাপ। দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেবে হিন্দি ছবির এমন আমদানি অব্যাহত থাকলে। মুখ থুবড়ে পড়বে দেশীয় চলচ্চিত্র। যারা বলছেন হিন্দি ছবি হল সচল রাখে, তারা সঠিক বলছেন না। নিয়ম করে দেশীয় সিনেমা মুক্তি দিলে হল এমনিতেই সচল থাকবে। আমি সেটাই করিয়ে দেখাব। এক বছরের মধ্যে আপনারা পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
আইএ