সরকার নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

বিক্ষোভের মুখে নাটক বন্ধে বাধ্য হলেন শিল্পকলার মহাপরিচালক

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ১০:৪২ এএম

ঢাকা : বিক্ষোভকারীদের হুমকির মুখে প্রদর্শনীর মাঝপথেই নাটক বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।

শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দেশনাটক দলের প্রদর্শনী চলাকালে এমন ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ‘ফেসবুকে কটূক্তি’র দাবি তুলে বেশ কিছু উত্তেজিত জনতা জাতীয় নাট্যশালায় গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ তাদেরকে শান্ত হওয়ার কথা বললে শিল্পকলার গেইটে বিক্ষোভকারীরা নাটক বন্ধের জন্য ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়।

একপর্যায়ে তারা দেশ নাটকের দলনেতা এহসানুল এজাজ বাবুকে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এহসানুল এজাজ ফেসবুকে বর্তমান সরকার নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করেছেন।

[236084]

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, আমি দেশ নাটক এর সদস্য এবং উপস্থিত ছিলাম। দেশ নাটক এর একজন সিনিয়র সদস্য বর্তমান সরকারের বিষয়ে আপত্তিকর এবং গত সরকারের পক্ষে যায় এমন কিছু স্টাটাস তার ব্যক্তিগত পোস্টে দিতেন। সেই কারণে গেটের বাইরে মব তৈরি করে প্রথমে তাকে দল থেকে বের করে দেবার কথা বলা হয়। না হলে দেশ নাটক এর শো বন্ধ করতে বলা হয়। জামিল স্যার বুঝিয়ে শো শুরু করতে বলেন। শো শুরু হবার চল্লিশ মিনিট পর মব আরো উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর শুরু করার হুমকি দেয়। জামিল স্যার বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে স্টেজে এসে ঘটনা উল্লেখ করে শো বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক মাসুম রেজা গণমাধ্যমকে জানান, আজ দেশনাটক দলের নিত্যপুরাণ নাটকের প্রদর্শনী ছিল। নাটকের টিকিট বিক্রির সময় ২০-২২ জন বিক্ষোভকারী এসে ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। যেখানে লিখা ছিল ‘দেশ নাটকের দলনেতা এহসানুল এজাজ বাবুকে আমাদের হাতে তুলে দিন’। পরে মহাপরিচালক এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। কিন্তু শো শুরু হলে আবারও বিক্ষোভকারীরা হট্টগোল শুরু করলে তাদের দাবির মুখে নাটক বন্ধ করে দেন মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বেশ কিছু উত্তেজিত জনতা জাতীয় নাট্যশালায় গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। অনেক কথা হয়েছে, উত্তেজিত জনতার সঙ্গে কিন্তু তারা এ নাটক বন্ধের দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেছি, তাদের বোঝানোর জন্য। যদি তারা আগুন ধরিয়ে দেয়, এজন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমটিআই