ঢাকা: চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবারও শোকের ছায়া। অভিনেত্রী অঞ্জনাকে হারানোর বিষাদ কাটতে না কাটতে এবার চিরবিদায় নিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
প্রবীর মিত্রের মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
অনেকদিন ধরেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছিলেন প্রবীর মিত্র। অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু জটিলতার কারণে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, কিছু শারীরিক জটিলতায় গুণী এই অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তির পর আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কেবিনে আনেন চিকিৎসকরা। এরপর আবারও এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নায়ক হিসেবে কাজ করলেও তিনি ছিলেন মূলত একজন চরিত্রাভিনেতা।
প্রবীর মিত্র অভিনীত কাজের তালিকায় রয়েছে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক সিনেমা।
এম