ঢাকা : বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এবং সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া, আরও কিছু নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আশঙ্কা, আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে দেশের নয় জেলায় নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও যমুনায় পানি সমতল বাড়ছে। আগামী আরও ৪৮ ঘণ্টা এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।
সিনপটিক অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, শরৎকাল শুরু হলেও আবহওয়ার হিসেবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাস বর্ষাকাল। সে হিসেবে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হবে, টানা বৃষ্টি হবে না। সকালে সূর্য ওঠার পরই তাপমাত্রা বেড়ে যায়। জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এখন সেই পরিমাণ বৃষ্টিও হচ্ছে না। যে কারণে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ সময় ভারত অংশে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। যার প্রভাবে বাংলাদেশের নদ-নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ