আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ১০:২৫ এএম

ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় মিগযাউমের প্রভাবে বৃষ্টির পর সারাদেশে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাজশাহীর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছেন মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ, যা প্রভাব ফেলবে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বলেন, কাল থেকে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল যেমন- গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুরের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা নেমে আসবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।

[213122]

তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর তিন থেকে চারদিন বিরতি দিয়ে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

আবহাওয়া ধিদপ্তরের ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে দেশের কোথাও কোথাও একটি বা ‍দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে শীতের অনুভূতির তীব্রতা বাড়তে থাকে।

একটি উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ এলাকাজুড়ে বিদ্যমান। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে শীতল বাতাস দেশের অভ্যন্তরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করতে শুরু করেছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কমে যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার শুরু হয়েছে- এসব কারণেই শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সোমবার থেকে রাতের তাপত্রা কমতে শুরু করেছ। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আর দিনের তাপমাত্রা থাকছে ২১ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ৩০ দমমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বদলগাছীতে, ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি। এ কারণেই ঢাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঢাকায় মৃদু বাতাস বইছে, সকাল থেকেই কুয়াশা ছিল। দিনের আলো কুয়াশার চাদর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠ ও তার সংলগ্ন বাতাসকে উত্তপ্ত করতে না পারায় ঢাকায় শীতের অনুভূতির তীব্রতা আছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী তিন দিন আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পরে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা হতে পারে।

সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এমটিআই