ঢাকা: যারা ভাবছেন শীতের তীব্রতা সামনে কমে আসবে, তাদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ আছে। এই জানুয়ারি মাসের বাকি অর্ধেকটা সময় শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমে আসার সম্ভাবনা তেমন নেই। হাড় কাঁপানো শীত। দিনের আলো নিভে গেলেই ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ে কয়েকগুণ। সহসাই এমন ঠান্ডা থেকে মিলছে না মুক্তিও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস জুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ। ২০ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
হিমেল হওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা। ঘরের বাইরে বের হলেই জবুথবু অবস্থা। মৃদু শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে মৌলভীবাজার, বগুড়া, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, পঞ্চগড় ও বরিশালে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। যা বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর থেকে তীব্র হয়। সকাল ৮টায় ঢাকাসহ সারাদেশ কুয়াশায় ঢেকে আছে। সামান্য দূরের দৃষ্টিসীমা অস্পষ্ট। এরমধ্যে বইছে মৃদু বাতাস। যা ঠান্ডা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের দুই একটি জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ২০ তারিখের পর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ কেটে গেলে আবার ঠান্ডা বাড়তে শুরু করবে। যা এ মাস জুড়েই অব্যহত থাকবে।
এদিকে, তীব্র কুয়াশায় বাড়তি সতর্কতা নিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে ছিন্নমূল মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত উপার্জন করতে পারছেন না তারা। রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চলছে অনেকের।
এদিকে, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে মানুষের। মার্কেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফুটপাতেও বিক্রি হচ্ছে সমানতালে।
ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সোনালীনিউজ/এসআই